ভয়েস ৯,ঢাকা ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ভোর রাত থেকেই ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই গোটা জেলাজুড়ে এ অবস্থা বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি সকাল ১০টার সমীক্ষা অনুযায়ী মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। যার ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস ও বোঝাই বন্ধ থাকার কথা নিশ্চিত করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের কন্ট্রোল রুম জানায়, আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেত বাড়ানো ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বন্দরে ১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছিল ছিল। সবগুলোর জাহাজের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলেও জানায় করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের কন্ট্রোল রুম।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় জুম লিঙ্কের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে।
পাশাপাশি ১৯২০ জন সিপিপি, ৩২৫ জন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যসহ, রোভার, স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ, জনস্বাস্থ্য, জিএম, পল্লী বিদ্যুৎ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনাসহ ৯ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটে ৩৫৯টি সাইক্লোন সেন্টার এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজ ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছড়াও জেলায় ত্রাণ বাবদ ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লাখ টাকা মজুদ আছে।