ইউক্রেনে ধর্ষণ ও খাদ্যকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে রাশিয়াঃ জাতিসঙ্ঘে বাইডেন প্রশাসনের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ

জাতিসংঘ: জাতিসংঘে বাইডেন প্রশাসনের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন ফেব্রুয়ারীর ২৪ এ রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর রাশিয়ান বাহিনীর নৃশংসতার পর্বত-প্রমান অভিযোগ প্রতিদিন বাড়োছে। আর এই রিপোর্টগুলিতে রয়েছে ইউক্রেনের নাগরিকদের উপর যৌন নিপীড়ন। কাউন্সিলের বৈঠকের আয়োজক আলবেনিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ফেরিট হোক্সহা বলেন। “আমরা এখন কিইভ ও ব্লাস্টের মুক্ত শহরগুলির ফলাফল থেকে জানি যে বেসামরিক ব্যাক্তিদের লক্ষ্যবস্তু হিসাবে ব্যবহার হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, ব্যাপকভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে মহিলা ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।" থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, “রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে এবং মার্কিন সরকার রিপোর্ট পেয়েছে যে রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনীয় নারীদের ঘন্টার পর ঘন্টা ধর্ষণ করেছে - এবং তারপরে তাদের হত্যা করেছে।" ইউক্রেনের সাংসদ কিরা রুডিক সিবিএস নিউজকে বলেন, রাশিয়ানরা যেসব এলাকা দখলে রেখেছিল, সেখানে যৌন সহিংসতা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যুদ্ধে যৌন সহিংসতা দেখভাল করার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত প্রমিলা প্যাটেন বলেছেন, ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস মনিটরিং টিম ইউক্রেন জুড়ে প্রাপ্ত ১২৪ টি রিপোর্ট মূল্যায়ন করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে ইউক্রেনের চেরনিহিভ, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, ডোনেটস্ক, খারকিভ, খেরসন, কিইভ, লুহানস্ক, মাইকোলাইভ, ভিনিৎসিয়া, জাপোরিঝিয়া, জাকারপাট্টিয়া এবং জাইটোমির নারী, পুরুষ, বালক-বালিকাদের উপর যোন অত্যাচার করার ভিযোগ পাওয়্যা গেছে। প্যাটেন জানান, তিন মাসেরও কম যুদ্ধে পাওয়া গেছে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের পরে গর্ভাবস্থা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণের হুমকি, শিশুদের জোরপূর্বক নগ্নতা দেখতে বাধ্য করার মতো অভিযোগ। কাউন্সিলে ভাষণ দেওয়ার সময়, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে "লজ্জাজনক কাজ... একটি লজ্জাজনক যুদ্ধে" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটা "দিনের আলোর মতো উন্মোচিত হবে এবং এর বিচার করতে হবে।" মিশেল কাউন্সিল সদস্যদের বলেন যে বর্তমান বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ সংকটের জন্য রাশিয়া এককভাবে দায়ী। রাশিয়ার যুদ্ধের নাটকীয় পরিণতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে৷ এই যুদ্ধ খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করছে।" তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহর ওডেসায় সাম্প্রতিক সফরের সময় আমি দেখেছি লক্ষ লক্ষ টন শস্য এবং গম কনটেইনার জাহাজে আটকে আছে। মিশেল যখন "বর্বর" যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে তিরস্কার করতে থাকেন, তখন মস্কোর জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া রাশিয়ান সৈন্যদের যৌন সহিংসতার অভিযোগকে মিথ্যা বলে খারিজ করে প্রতিবাদে বেরিয়ে যান।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad