'সত্য কি অসংসদীয়?': সংসদের সেন্সর আদেশকে কটাক্ষ করল বিরোধীরা
1:19:00 PM
0
নিজস্ব প্রতিনিধি, নতুন দিল্লিঃ বেশ কিছু শব্দকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে এবং সংসদে ওই শব্দগুলি ব্যবহার করা যাবে না বলে লোকসভা সচিবালয় একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিল। আজ বিরোধী দল এর প্রতিবাদে পাল্টা আক্রমণ করে বলে যে এই নিষেধাজ্ঞা "অনভিপ্রেত"।
কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি টুইট করেছেন, 'আপনার সমালোচনায় সৃজনশীল হতে না পারলে সংসদের লাভ কী? জুমলাজিভি কো জুমলাজিভি নহি বোলনেগে কেয়া বোলেঙ্গে? শব্দ নিষিদ্ধ করা অপ্রয়োজনীয়!''
কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে তারা বলছে যে সংসদের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ ব্যবহার করা যাবে না, আগামীকাল তারা গেরুয়া পোশাকে সংসদে প্রবেশ করতে বলবে। সংসদে আমাদের একটি রুলস কমিটি আছে। এই ধরনের নিয়ম এনে তারা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র তৈরি করছে।“
লোকসভার সচিবালয় পুস্তিকায় অসংসদীয় শব্দের তালিকাইয় রয়েছে 'নৈরাজ্যবাদী', 'শকুনি', 'স্বৈরাচারী', 'তানাশাহ', 'তানাশাহি', 'জয়চাঁদ', 'ভিনাশ পুরুষ', 'খালিস্তানি' এবং 'খুন সে খেতি'র মতো শব্দ। পুস্তিকায় আরও বলা হয়েছে, লোকসভা সচিবালয় 'দোহরা চরিত্রা', 'নিকাম্মা', 'নৌটঙ্কি', 'ধিন্ডোরা পিতনা' এবং 'বেহরি সরকার'-এর মতো শব্দগুলিকে অসংসদীয় অভিব্যক্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।
এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, "মোদী সরকারের বাস্তবতা বর্ণনা করার জন্য বিরোধীরা যে সমস্ত শব্দ ব্যবহার করেছে তা এখন 'অসংসদীয়' হিসাবে বিবেচিত হবে। এর পরে কী হবে বিশ্বগুরু"।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা টুইট করে বলেন, 'সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যখন তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়, তখন তারা চায় না যে কেউ এটাকে দুর্নীতি বলুক, বরং এটাকে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে চিহ্নিত করুক। তারা ২ কোটি চাকরি, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার মতো জুমলা ব্যবহার করে, তবে আমরা এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
Tags