মৃতার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করার পর মোবিনা টাউন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের এই নির্মমতা দেখে হতবাক পুলিশ কর্তারাও।
প্রাথমিক তদন্তের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে এসএসপি আব্দুর রহিম শেরাজজি জানান, ওই নারীর স্বামী আশিক স্কুলে চৌকিদারের কাজ করতেন এবং পরিবারসহ স্কুলের একটি বাড়িতে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর অভিযুক্ত তার তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেলেও বাকি তিন শিশু পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ও শিশুদের বয়ান থেকে জানা যায়, মৃতার স্বামী প্রথমে বালিশের সাহায্যে তার স্ত্রীকে খুন করে এবং পরে শিশুদের সামনে একটি প্যানে সেদ্ধ করে। এই ঘটনায় ওই মহিলার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এই ঘটনার পিছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য কী তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিযোগ, স্বামী তার স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করেছিল এবং তার কথা মানতে অস্বীকার করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের কাছে দুটি সিম কার্ড থাকলেও সে দু'টিই লক করে দিয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি প্রায় ১১ বছর আগে ঘটে যাওয়া একই ধরনের একটি ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। ২০১১ সালের নভেম্বরে পুলিশ স্বামীকে হত্যা এবং তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রান্না করার চেষ্টাকরার জন্য এক মহিলাকেে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, ওই মহিলার স্বামী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল।