জানা গেছে, সাদ্দামের স্ত্রী নাজনীন খাতুন জুনের প্রথম সপ্তাহে তার এক ‘বন্ধু’ পরমুর ফিয়াজ খানের সঙ্গে পালিয়ে যান এবং মোতিহারি শহরের আগারওয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। অন্যদিকে, নাজনীন নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পর তার নিজের গ্রাম নিমুইতে এক মহিলার অর্ধগলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়। সবাই ভাবে এটা নাজনীন খাতুনের মৃতদেহ। এরপর নাজনীনের বাবা শফি আহমেদ সুগাউলি থানায় তার জামাই শেখ সাদ্দামের বিরুদ্ধে যৌতুক হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। আহমেদের অভিযোগের ভিত্তিতে সুগাউলি পুলিশ সাদ্দামকে গ্রেফতার করে।
তবে সাদ্দামের পরিবার পুলিশের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট না হয়ে তারা নিজেদের মতো তদন্ত শুরু করে এবং মোতিহারি শহরে নাজনীন খাতুনকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। এরপর পুলিশ সাদ্দামের পরিবারের সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আগরওয়া এলাকার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাজনীনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর নাজনীনকে স্থানীয় আদালতে হাজির করা হয় এবং সাদ্দামকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কথাগুলি জানান, মতিহারির মহিলা থানার এক আধিকারিক। তিনি বলেন, 'লাশটি শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। বর্তমানে নাজনীনের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে তার বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।