পুলিশ জানিয়েছে, দশম শ্রেণির ছাত্র ওই কিশোর নিজেই গার্ডেন এনক্লেভ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসারদের এই খুনের কথা জানায়।
গাজিয়াবাদের (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার (এসপি) ইরাজ রাজা বলেন, কিশোরটি জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে জানিয়েছে যে সে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে না এবং স্কুলে যাওয়া এড়াতে চায়। তিনি বলেন, "সে ড্রপ আউট করার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তার পরিবার তা অনুমোদন করেনি। এরপর ওই ছেলেটি তার বন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাতে সে জেলে যেতে পারে। আর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ছেলেটিক গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। আদলত তাকে একটি পর্যবেক্ষণ হোমে পাঠায়। তার শিকার পাড়ায় বসবাস করত, এবং তার চেয়ে দুই বছরের ছোট ছিল।
হাপুরের পিলখুওয়ার বাসিন্দা মৃত ছেলেটি বাবা জানান, দুপুর ২টায় তার ছেলে স্কুল থেকে ফিরে আসার পরপরই ওই বড়ো ছেলেটি তার বাড়িতে আসে এবং তারা দুজন একসাথে বাইরে যায়। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন আমাদেরকে হত্যার কথা জানালে আমরা সেখানে ছুটে যাই। আমার ছেলের লাশ দেখে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম," দা, নিহতের বাবা বলেন। আজ দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ১৪ বছরের ওই কিশোরের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলে পরিবারের লোকজন সহ অন্যান্যরা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে হাপুর রোড অবরোধ করে। মাত্র দু'ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা ৫০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ, পরিবারের এক সদস্যের জন্য একটি চাকরি দাবি করেছিল। এছাড়া, মৃতের পরিবারের জন্য একটি বাড়ি এবং মৃতের ভাইবোনদের জন্য বিনামূল্যে পড়াশুনা।