এখন শোনা যাচ্ছে, সামনের বছর মে মাসে ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন থাকলেও সম্ভবতঃ এ বছরের শেষেই নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই দলের সংগঠন সাজানো ও প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে গেছে দলের অন্দরেই। যে টুকু জানা গেছে, এবারের নির্বাচনের আগে দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পার্থ চট্টো পাধায়ের মতো দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া নেতা তথা মন্ত্রীকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের মতো দলীয় সৈনিক এখন সিবিআই হেফাজতে। এরকম অবস্থায় নির্বাচন দলের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের, তা সত্বেও, পঞ্চায়েত ভোটকে এগিয়ে নিয়ে আসার পিছনে নিশ্চয় কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা দলের আছে।
জানা গেছে, রাজ্যের ৭৭ হাজার আসনেই প্রার্থী দেবে তৃণমূল। আর এই প্রার্থী বাছাই এর কাজও শুরু হয়েছে। আর এই নির্বাচনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তরুণ প্রজন্মের মানুষ আর মহিলারা। আর একটি বিষয়, দলের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে, তৃণমূলের ৪২-৪২ থেকে ১৮ টি আসন বিজেপির হাতে চলে যাওয়া। এটা আটকানোর জন্য প্রথম থেকেই সতর্ক দল। তাই প্রার্থী নির্বাচন, দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দলীয় কর্মী ও নেতাদের কড়া বার্তা- এ সবই ২০২৪ এ বিজেপিকে এ রাজ্যে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা।