জানা গেছে, জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে (৩৪) বেহালা রেল সেকশনের একজন রেলওয়ে গ্যাংম্যান। রবিবার, বিওহরি থেকে কিছুটা দূরে চৈথানি গ্রামের কাছে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়। যেহেতু, জি আর পি থানা অনেক দূরে, তাই স্থানীয় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। রেলওয়ের কর্মীরা দেহটি তাদের সঙ্গী জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে হিসাবে সনাক্ত করেছিলেন এবং কেউ ফোনে তার মৃত্যুর কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। এমনকি, ‘মৃতের’ বড় ভাই দেবেন্দ্র মৃতদেহটি তার ভাই জ্ঞানেন্দ্র হিসাবেই সনাক্ত করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সনাক্ত হওয়ার পর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় এবং লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর শুরু হয় অন্তেষ্টির তোড়জোড়। মৃতদেহ দাহ করার আগে, ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জ্ঞানেন্দ্রর জিনিসপত্র ফেরত নিতে বৌহারির রেল কোয়ার্টারে যান পরিবারের সদস্যরা। তারা দেখেন, সামনের দরজায় তালা লাগানো, কিন্তু, পিছনের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অবাক হয়ে তারা তালা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন ‘মৃত’ জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে আরামে ঘুমোচ্ছেন।
কিন্তু, এখন পুলিশ পড়েছে মহা সমস্যায়। তাহলে রেল-লাইনে যার মৃতিদেহ পাওয়া গেল, সেটা কার? পুলিশ জানায়, জ্ঞানেন্দ্রকে দেখে আমরা বুঝতে পারি, শুধু শরীর নয়, তাঁর মুখের সঙ্গেও বেশ মিল রয়েছে মৃতদেহটির। সম্ভবত এ কারণেই পরিবারটি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। এখন ট্র্যাকে পাওয়া দেহটিকে অজ্ঞাত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।