আজিজ হাওলাদার একই এলাকায় মৃত হাচেন আলী হাওলাদারের ছেলে। আজিজ ও নারগিস দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুই বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন সোমবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে লোহার শাবল দিয়ে নারগিসের মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘর থেকে বের হয়ে যান আজিজ। স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় নারগিসকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাতক আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। আমার হার্ট সার্জারি করা। আমার স্ত্রী প্রতিদিন সংসারের কাজ শেষ করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। ত্রিশ বছর ঢাকায় চাকরি করে শেষ বয়সে বাড়িতে এসেছি। এ বয়সে তার (স্ত্রীর) সান্নিধ্য পাওয়া আমার খুব দরকার ছিল। বিষয়টি আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানদেরও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এ হত্যাকাণ্ডে আমি অনুতপ্ত নই।
রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, রাত দেড়টার দিকে থানার গেটে এসে ঘাতক আজিজ থানার ভেতরে ঢুকতে চাইলে সিকিউরিটি তাকে বাধা দেয়। এ সময় তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আজিজ হাওলাদারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।