দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের এক পরিত্যক্ত হাসপাতালের ঘর থেকে পাওয়া গেল এই ভয়ঙ্কর পুতুলটি

ভয়েস ৯, ইন্টারন্যাশানাল ডেস্কঃ আপনাদের নিশ্চয় অ্যানাবেল নামে সেই ভয়ঙ্কর পুতুলটির কথা মনে আছে। ছবিটা দেখার পর নিশ্চয় আপনারা পুতুল দেখলেই একটা গা ছমছমে অনুভূতি টের পেতেন। মনে করুন একটা পরিত্যক্ত হাসপাতাল। আশেপাশে কিচ্ছু নেই, না বাড়িঘর, না হাইওয়ে। শুনশান জায়গায় একটা ভাঙ্গাচোড়া হাসপাতাল। দরজা-জানালা বিহীন। ঘরে ভাঙ্গাচোড়া বেড। কোথাও রক্তের দাগ। এরকম একটা জায়গায় আপনি যদি দেখেন একটা গদি আটা চেয়ারে শুএ রয়েছে একটা অদ্ভুত পুতুল, যার দু চোখে বেগুনি রঙ স্প্রে করা, কেমন অনুভূতি হবে।
ঠিক এইরকম অনুভূতি হয়েছিল ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী ফটোগ্রাফারের। স্কটল্যান্ডের ইস্ট ফরচুন হাসপাতালের অব্যবহৃত বিছানার ফ্রেম এবং মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরানো গদি আর তার মাঝে চেয়ারে শায়িত একটা অশুভ চেহারার পুতুল খুঁজে পাওয়ার পর। কাইল উরবেক্স, সেই তরুণী ফটোগ্রাফার বলেছিলেন, 'হাসপাতাল ভবনটিতে আগুন লাগলেও আমি যখন ভেতরে প্রবেশ করি, তখনও তার মধ্যে একটা বিভীষিকাময় অনুভূতি ছিল। আর সেই বেগুনি, রক্তাক্ত চোখ দিয়ে বিভীষিকাময় স্বর্ণকেশী চুলের পুতুলটি… এটা অবশ্যই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একটা পুতুল যা আমি একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালে খুঁজে পাওয়ার আশা করিনি। যে ঘরটায় তিনি পুতুলটি দেখতে পান, সেটা কোনো একসময় রোগীর ঘর ছিল। সেখানে একটা চেয়ারে সেই অদ্ভুত পুতুল। কাইল বলেছিলেন, রোগীর আত্মীয়রা তাদের প্রিয়জনদের সাথে দেখা করার সময় ওই চেয়ারে বসতেন। অদ্ভুতভাবে ওই চেয়ারটা অক্ষত ছিল।
জানা গেছে, ইস্ট ফরচুন হাসপাতালটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত যক্ষ্মা স্যানেটোরিয়াম হিসাবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু যুদ্ধের সময় যখন নিকটবর্তী এয়ারফিল্ডটি আবার ব্যবহার করা শুরু হয়, তখন রোগীদের পশ্চিম লোথিয়ানের বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ভবনটি তখন একটি আরএএফ ঘাঁটি এবং সামরিক হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে এটি পুনরায় খোলা হয়েছিল, কিন্তু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করার সাথে সাথে এটি মানসিক রোগীদের থাকার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। পরে, ১৯৯৭ সালে এটা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়।
ছবি সৌজন্যঃ কাইল উরবেক্স

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad