এটা ঘটানো হল, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটার আগেই পৃথিবীকে বাঁচানো যায়। সময়টা ভারতীয় সময় ৪টা ৪৬। ১ কোটি ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যকে প্রদক্ষিণকারী একটি ছোট গ্রহাণু। তার সঙ্গে ধাক্কায় মহাকাশযানটিকে ধ্বংস করা। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির কক্ষপথ পরিবর্তন করা। এটাই ছিল এই সংঘর্ষের উদ্দেশ্য। বাস্তবে করে দেখাল করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
যে দূরত্বে ওই গ্রহাণুটি ছিল, মানে ১ কোটি ১০ লক্ষ কিলোমিটার, তা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ৩০০ গুণ। এই গ্রহাণুর নাম ডিমারফস। সে তার কক্ষপথে ঘোরার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে এসেছিল। এটি এসে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে যেত, অবশ্য এমন কোনও আশঙ্কা ছিল না।
আজ তাই গ্রহাণুর সঙ্গে মহাকাশযানের সংঘর্ষটি ছিল শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তির দক্ষতা দেখে নেওয়া। যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়। নাসা বলেছে যে ওই গ্রহাণু থেকে অন্তত আগামী ১০০ বছরে পৃথিবীর কোনও বিপদ নেই।