ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে জনসমুদ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঢাকাঃ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিতে না পারলেও বিশ্বকাপের সময় উৎসবের আমেজ চলে বাংলাদেশে। টং দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সব জায়গায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ফুটবল। এবার মরুর দেশ কাতারে আয়োজিত হয়েছে বিশ্বকাপ। সেই উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই উত্তাপ একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। 
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ ও টিএসসি এলাকায় দুটিসহ মোট তিনটি বড় পর্দা (জায়ান্ট স্ক্রিন) বসানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি হল ও আশপাশের এলাকায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখানো হচ্ছে। খেলা দেখতে পর্দার সামনে উপস্থিত থাকছেন হাজারো দর্শক। তবে শক্তিমত্তার বিচারে যেসব দেশ এগিয়ে আছে, তাদের ম্যাচ চলাকালে দর্শকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। উৎসবস্থলে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
খেলা দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পথশিশু, রিকশাচালক, চাকরিজীবী, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। এ সময় সমর্থকদের মধ্যে চলে আলোচনা, বিতর্ক আর ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো দলগুলোর খেলার সময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
 বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের এলাকা থেকে প্রিয় দলের সমর্থনে মিছিল ও পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দিতে দিতে পর্দার সামনে আসতে দেখা যায় লোকজনকে। খেলা শুরুর পরপর সবার মনোযোগ থাকে বড় পর্দার দিকে। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ, ট্যাকেল, ডিফেন্ডিং,সব কিছুতেই দর্শকদের উল্লাস শোনা যায়। তবে প্রিয়দল গোল করলে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে সমর্থকরা।
গত রবিবার দিবাগত রাত ১টায় আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকোর খেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়।
 জয়ের পর আর্জেন্টিনার সমর্থকরা জয়োল্লাস করে। 
গতকাল রাত ১০টায় ছিল ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের খেলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সমর্থকরা আসতে শুরু করে। 
এ সময় অনেকে ব্রাজিলের পতাকা নিয়ে মিছিল করে। বেশ কয়েকজন সমর্থককে ভুভুজেলা বাজাতে দেখা যায়। দর্শকরা বলছে, জায়ান্ট স্ক্রিনে সবার সঙ্গে খেলা উপভোগ করার মজাই আলাদা। এ জন্যই তারা খেলা দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসেছে। খেলা দেখতে আসা হাফিজুর রহমান নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জায়ান্ট স্ক্রিনের বিষয়টি দেখেছি। সবাই বলছে, এখানে খেলা দেখতে এলে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার মতো অনুভূতি পাওয়া যায়। এ জন্যই এখানে খেলা দেখতে আসা।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad