বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা ডিবির অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব)।
ওসি রিয়াজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সাভারের জয়নাবাড়ি এলাকায় হেরোইনের একটি বড় চালান এসেছে এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের (পিপিএম বার) নির্দেশনায় ও আমার নেতৃত্বে এবং ডিবির উপ-পরিদর্শক মোঃ সহিদুল ইসলামের (পিপিএম) সমন্বয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে আশরাফ ইমাম নামের ওই মাদক কারবারিকে আটক করা হয় এসময় তার বিছানার তোশকের নিচ থেকে কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আটক আশরাফ ইমাম গত ৫/৬মাস যাবৎ জয়নাবাড়ি এলাকায় রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজের আড়ালে তার নিজ এলাকা চাপাইনবয়াবগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন পাচার করে আসছে। স্থানীয়ভাবে আসামির সম্পর্কে যাচাই-বাছাইকালে জানা যায়, সে গত প্রায় ৬মাস আগে স্থানীয় ইছহাক মিয়ার বাড়িতে একটি ছোট কক্ষ ভাড়া নিয়ে আশপাশের এলাকায় রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতো। বেশভূষায় একেবারে নিরীহ গোছের হওয়ায় তার প্রতিবেশীরা কখনো তাকে সন্দেহ করেনি। আটক আশরাফ ওই কক্ষে একাই থাকতো এবং নিজেই রান্না করে খেতো। সবাই তাকে রাজমিস্ত্রীর সহকারী ভাবলেও প্রকৃত অর্থে সে দীর্ঘদিন যাবৎ হেরোইন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আশরাফ ইমাম জানিয়েছেন দীর্ঘদিন যাবৎ চাপাইনবাবগঞ্জের বর্ডার থেকে জনৈক তোফাজ্জল নামক ব্যক্তির কাছ থেকে হেরোইনের চালান আসতো তার কাছে এবং একটি ইন্ডিয়ান সিমের নাম্বারে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
আটক আশরাফের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ডিবি এই কর্মকর্তা।