আর তার এই কথাগুলোই এখন ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে বিহারের সারণ সহ, ছাপড়া জেলার বিষ মদ অধ্যুষিত এলাকার মানুষদের কাছে। বাড়ির মহিলাদের বক্তব্য, মরদরা মদ খেয়ে মরলো, কিন্তু এই বিষ মদ কারা আনছে, সরকার কি সেটা দেখেছে এতদিন? যদি দেখত, তাহলে তো তাদের বাড়ির লোক মরতো না।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে নীতিশ কুমার সরকার বিহারে মদ বিক্রি ও পান করা নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু, মদের যোগান বন্ধ হয়নি, চোরা পথে মদ ঢুকেছে, সে ভালো মদই হোক আর বিষাক্ত মদ। এর দায় কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কথাগুলো বলছিলেন, এখানকার কয়েকজন সমাজকর্মী। তারা বলেন, তাহলে লাভ কার হচ্ছে, চোরাপথে মদ ঢোকা আগে আটকান নীতিশ সরকার।
মদের নেশা যে এই দূর্বল পরিবারের কাছে একটা বড়ো অভিশাপ, যেখানেই কথা বলেছি, টের পেয়েছি। কিন্তু, এই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, আসছে কোথা থেকে, ভেজাল মেশাচ্ছে কারা? এর জাল কতদূর? এই প্রশাসনিক প্রশ্নের উত্তর সেভাবে মেলেনি।
এদিকে, বিজেপি নেতারা এই ইস্যুতে নীতীশের অবস্থানের বিরুদ্ধে, বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে, তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। নীতীশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাতে বিজেপি নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল বিহারের রাজ্যপাল পাঘু চৌহানের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।