জানা গেছে, নৌকাটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে।শরণার্থীদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের (আরএইচআরআই) সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অবস্থান জানিয়েছিলেন নৌকাটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইন্দোনেশিয়ার আচেহের দিকে এগোচ্ছিল।
ভারতীয় কোস্ট গার্ড বা ইউনিফাইড আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের মুখপাত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানান, 'আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আরএইচআরআই-এর দেওয়া অবস্থান থেকে মনে হচ্ছে, রোহিঙ্গা নৌকাটি ভারতের জলসীমার বাইরে। শরণার্থীরা বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যাদের সংখ্যা ১২০ এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ৪০ জন।
ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কুতুপালং এবং নিকটবর্তী আরেকটি ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির বালুকালী থেকে পালিয়ে এসেছছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
টেলিফোনে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'কিছু মিডিয়া রিপোর্ট আছে, কিন্তু এমন কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে এ ধরনের পালানোর সঙ্গে জড়িত বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ১,৯০০ এরও বেশি লোক, যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা, সমুদ্রপথে পালায়। ২০২১ সালে এই সংখ্যাটা ছিলমাত্র ২৮৭ জন। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, সমুদ্রগামী শরণার্থীরা মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করেছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যারা ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের লোকসিউমাওয়েতে রাখা হয়েছে।