রবিবার সেই পুরানো স্মৃতি উস্কে দিয়ে আবার এই আগ্নেয়গিরি শুরু করল ধূম-উদ্গীরণ। আগ্নেয়গিরির ছাইতে রাস্তা এবং বাড়িঘর ঢেকে গেল সরিয়ে নিয়ে যেতে হল পূর্ব জাভা প্রদেশের প্রায় ২,০০০ বাসিন্দাক। আজ কয়েকশো উদ্ধারকারীকে সাম্বারউলুহ এবং সুপিতুরাং-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছিল। এখানে বহু বাড়িঘর এবং মসজিদের ছাদে জমা হয়েছিল আগ্নেয়গিরির ছাই।ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সব।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং বাস্তুচ্যুতরা গ্রামের হল ও স্কুলসহ সরকারি স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছে। আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য ২০,০০০ এরও বেশি ফেস মাস্ক দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৬৪০ কিলোমিটার (৪০০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত মাউন্ট সেমেরু রবিবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৬ মিনিটে (ইটি শনিবার দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে) অগ্ন্যুৎপাত শুরু করে বলে জানিয়েছিল বিএনপিবি। বিএনপিবি'র শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আশেপাশের গ্রামগুলো ধূসর ছাইয়ে ঢাকা। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পুরু কাদায় ঢেকে গিয়েছিল সব। একটি সেতু ধ্বংস করে নিকটবর্তী নদীর দিকে ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছিল গলন্ত লাভার স্রোত। পাহাড়ের পাশ দিয়ে চারিকের বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছিল আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত গ্যাস। সমস্ত গ্রামগুলিকে দমবন্ধ করে দিয়েছিল এই গ্যাস।
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাটি এলাকার বাসিন্দাদের সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাত কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ১৭ কিলোমিটার (১০.৫ মাইল) দূরে থাকার জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে আগ্নেয়গিরির ছাই উপকেন্দ্র থেকে ১২ কিলোমিটার (৭.৪ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছেছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের প্লামটি বাতাসে ১৫ কিলোমিটার (প্রায় ৪৯,২০০ ফুট) পর্যন্ত পৌঁছেছে। সংস্থাটি রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামির কোনো প্রভাব পড়েনি।