একইসঙ্গে দেশের পাঁচ তারকা বা অভিজাত হোটেল কিংবা ক্লাব খোলা থাকলেও সেখানেও মদের বারগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকজনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ অভিযানের কারণে কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার জন্য বার বন্ধ রাখা হবে, সেটি যেন নিশ্চিত করা যায় সেজন্য বিশেষ নজরদারি রয়েছে।
এছাড়া অবৈধ মাদক কারবারিদের আনাগোনা যেন না বাড়ে সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশের টহল চলছে। যেকোনো অঘটনের ঘটনা ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন করে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যেকোনো নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে বারগুলো যেন বন্ধ থাকে, সেজন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের কর্মকর্তা ও সদস্যরা বিভিন্ন বারে বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন বার ও অভিজাত হোটেল এবং ক্লাবের বার বন্ধ থাকবে। বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে র্যাব সবসময় মাঠে রয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।