একইসঙ্গে তাদের মাসিক বা দৈনিক মজুরী অনেকের দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে, বাড়িতে রান্না বা ঘর মোছার ঠিকে কর্মীরা কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কেননা, বহু পরিবারে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন, কিন্তু তাদের উপার্জন সেইমতো না থাকলে, তারা বেশি মজুরী দিয়ে পরিচারক-পরিচারিকা রাখতে পারবেন না বলে অনেকের ধারণা।
জানা গেছে, ১৯৪৮ সালের শ্রম আইনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারগুলি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও মজুরদের জন্য নূন্যতম বেতন কত হবে তা ঠিক করে দিতে পারে। এই আইন অনুসারেই এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাড়ির পরিচারক বা পরিচারিকাদের মজুরীর হার বেঁধে দিতে চলেছে।
গত ২২ নভেম্বর রাজ্য শ্রম দফতর এই মর্মে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজ্যপালের কাছ থেকেও এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদনও মিলেছে। সম্ভবত আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গেছে, এই মুহুর্তে রাজ্যে মোট পুরুষ ও মহিলা গৃহ-পরিচারকের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ।
বর্তমানে ১০ ঘণ্টা কাজের জন্যে এদের দৈনিক মজুরি ৩২৫-৩৫০ টাকা। মুম্বই, বেঙ্গালুরু, দিল্লির মতো শহরে এরা গড়ে ৮০০-১০০০ টাকা মজুরি পান দিনে। সেক্ষেত্রে, এই হিসাবে মজুরী ঠিক করে দিলে মাসে গৃহ-পরিচারক বা পরিচারিকারা পাবেন ১০-১১ হাজার টাকার মতো। এর ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের শ্রমজীবী এই সমস্ত কর্মীরা।