গান্ধী চক ফাঁড়ির সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল দাস স্বীকার করলেন তিনি মন্ত্রীকে গুলি করেছেন

নারায়ণ পট্টনায়ক, ভুবনেশ্বরঃ ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন ওড়িশা পুলিশের ব্রজরাজনগর থানার গান্ধী চক ফাঁড়ির সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল দাস। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাসকে গুলি করেছিলেন। আর এই য়াঘাতেই পরে হাসপাতালে মারা যান মন্ত্রী নবকিশোর দাস। 
এডিজি ক্রাইম ব্রাঞ্চ অরুণ বোথরা জানিয়েছেন, "অভিযুক্ত এ এস আই গোপাল দাস তার অপরাধ স্বীকার করেছে। ফরেনসিক ও সাইবার বিশেষজ্ঞ মিলে একটি বড় দল নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা পাওয়ার চেষ্টা করব।" পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি, সিআইডি/ক্রাইম ওড়িশা ঘটনাস্থলে ক্যাম্পিং করছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে মামলার তদন্ত পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করছেন। 

জানা গেছে ওই তদন্তকারী দলটি অভিযুক্ত এএসআই গোপাল কৃষ্ণ দাসের একটি ৯ এমএম পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজেয়াপ্ত করেছে। এই আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ব্যালিস্টিক পরীক্ষা এবং মতামতের জন্য পাঠানো হবে বলেপুলিশ জানিয়েছে।
 এদিকে, ওড়িশা সরকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস হত্যাকাণ্ডের অপরাধ শাখার তদন্ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য একজন স্থায়ী/অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারক বা জেলা বিচারকের অনুরোধ জানিয়ে ওড়িশা হাইকোর্টে চিঠি দিয়েছে। এই কারণেই চিঠি দেওয়া হয় যে অভিযুক্ত যেহেতু একজন পুলিশ কর্মী, তাই তদন্ত যে সঠিক পথে এগোচ্ছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহের উদ্রেক যাতে না হয়।।
অন্যদিকে, ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে এএসআই গোপাল দাসকে ৩০ জানুয়ারী পুলিশ সুপার ঝাড়সুগুদা ভারতের সংবিধানের ৩১১ ধারার অধীনে অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, প্রয়াত নবকিশোর দাস ২০১৯ সাল থেকে ওড়িশার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ঝাড়সুগুদা নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনবার বিধায়ক ছিলেন এবং এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতা বলে কথিত।
 অপারেশনের সময় দেখা গেছে যে একটি মাত্র বুলেট তার শরীরে প্রবেশ করেছিলএবং বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেটি হৃৎপিণ্ড ও বাম ফুসফুসে আঘাত করায় ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। শিশির মিশ্র ডিএসপি এবং স্টাফদের নেতৃত্বে আরেকটি দল ভুবনেশ্বরে তদন্ত পরিচালনা করে এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার পরে ক্যাপিটাল হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি দল ময়নাতদন্ত করে। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 
ভুবনেশ্বরের দলটি চিকিত্সার রেকর্ড এবং অন্যান্য ক্লু-সহ রক্তের দাগযুক্ত পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে। আরও রাসায়নিক পরীক্ষা এবং মতামতের জন্য ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad