তবে বনবিদরা বলছেন, শুধুমাত্র গণনা নয়, তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করাও জরুরি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার জানান, সুন্দরবনের প্রথমবারের মতো বাঘের পাশাপাশি হরিণ-শুকর গণনা করা হবে। এজন্য ৬৬৫টি স্পটে বসানো হচ্ছে জোড়া ক্যামেরা। ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাঘ গণনার পাশাপাশি বাঘ সংরক্ষণের জন্য নেওয়া হবে নানা উদ্যোগ।
তিনি জানান, এরইমধ্যে বাঘ গণনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পে প্রথম ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরা বসানো কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করা হয়েছে।
বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ডঃ আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, শুরুতে খাল সার্ভে আর বনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০০টি, খুলনা রেঞ্জে ১৪০টি, শরণখোলা রেঞ্জে ১৮০টি, চাঁদপাই রেঞ্জে ১৪৫টি গ্রিডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রিডে এক জোড়া ক্যামেরা অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬৬৫টি গ্রিডে এক হাজার ৩৩০টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বনের অভয়ারণ্য ও অভয়ারণ্য এলাকার বাইরেও বাঘ শুমারি করা হবে।
বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আরও বলেন, একইসঙ্গে বনের কম লবণাক্ত, মধ্যম লবণাক্ত ও বেশি লবণাক্ত সব বিবেচনা করা সব এলাকা জরিপের আওতায় আনা হবে। এর সঙ্গে বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ৪৯টি ভিলেজ টাইগার টিমের ৩৪০ জন সদস্য ও কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আবদুল আজিজ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পশু সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বর্তমানে পৃথিবীতে বাঘকে অতি সংকটাপন্ন প্রাণি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই বাঘ রক্ষায় এ প্রকল্পের মাধ্যমে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।