জানানো হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া অনলাইনে এই ওষুধ বিক্রি আইনানুগ নয়। অনলাইনের দোকানগুলির মাধ্যমে সহজেই ঘুমের ওষুধ ও নারকোটিক ড্রাগ যুবসমাজের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল। ফলে, যুবসমাজের হাতের নাগালে অনায়াসে চলে আসছিল নেশা হতে পারে এমন কাফ-সিরাপও। এর জেরেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল দেশে খুচরো ও পাইকারি ওষুধ বিক্রির দোকানদারদের সর্বভারতীয় সংগঠন এআইওসিডি।
দেশে বর্তমানে বড় কর্পোরেট পরিচালিত ই-ফার্মাসির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মোট বাজার কমপক্ষে ৩ হাজার কোটি টাকার। দেশের অর্থনীতিবিদরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, প্রতি বছর কমপক্ষে ২০-২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে অনলাইনে ওষুধ কেনাকাটার বাজার।
এর একটা বড় কারণ সেই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বড়সড় ছাড় পাওয়ার সুবিধা। খুচরো দোকানদারদের কাছে মাসকাবারি ওষুধ কিনলে বড়জোর ১০, ১৫, ১৮, বড়জোর ২০ শতাংশ ছাড় মেলে যেখানে, সেখানে অনলাইনে ওষুধ কিনলে ১৫, ২০, ২২, ২৫ এমনকী ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মেলে।
আর এই ছাড়ের জেরেই ওষুধ বেচে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে ই-ফার্মাসিগুলি।
কিন্তু দেশজুড়ে খুচরো ও পাইকারি মিলিয়ে ওষুধ ব্যবসায় ১০ লক্ষ দোকানদার ও দেড় কোটি মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে আছে। অনলাইনে ওষুধ বিক্রি শুরু হওয়ায় সরাসরি এই ১০ লক্ষ দোকানদার ও দেড় কোটি মানুষের রুজিরুটিতে বড়সড় আঘাত নেমে এসেছিল।
তবে, এর ফলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা, যারা বাড়িতে বসে ওষুধ পেতেন, তাদের একটু সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।