আহত ও নিহতরা যশোরের বাঘারপাড়া বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। আহতদের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হচ্ছে।
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৩টি বাসে করে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পিকনিকে যায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন ও অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সারাদিন গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে সন্ধ্যার পরে সমাধিস্থল থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস তিনটি ফেরার পথে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি বাটিয়াপাড়া মোড়ে দ্বিতীয় বাসটি প্রথম বাসটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
প্রধান সড়ক থেকে বাসটি উল্টে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এসময় দ্বিতীয় বাসটির মধ্যে থাকা অভিভাবক সদস্য বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ
ছাড়া গুরুতর আহত হয় বাসটিতে থাকা আরও ৪০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। আহতের মধ্যে বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদীপ্ত বিশ্বাসকে যশোর জেনারের হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর শুনে আহত ও নিহতেন খোঁজ-খবর নিতে আসেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে যশোর হাসপাতালে আসলে হাসপাতাল চত্বরে শোকাবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল চত্বরে রোগীর স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
আহতদের খোঁজ-খবর নিতে এসে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় কোনো অসু্বিধা হবে না। চিকিৎসার যাবতীয় অর্থ ও সহযোগিতা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় আমরা শোকাহত।
যশোর জেনারেল হাসাপাতারের ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়। অন্য একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। ১৫ জন আহতের মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হতে পারে।