ভয়েস ৯,ঢাকা ব্যুরো: সুন্দরবনে বাঘ গণনায় লাগানো আট ক্যামেরা চুরির ঘটনায় ১৪ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী ফাঁড়ির অভয়ারণ্য এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ, ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাঘ গণনার কাজ। বাঘ গণনার জন্য সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত আটটি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। চুরির বিষয়টি সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নজরে আসে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।
এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, ছেলে অন্যদের সঙ্গে অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত তারাই ক্যামেরা চুরি করেছে। প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরি ঘটনায় ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।