কিন্তু, কেন বরকে দেখে কনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন?
জানা গেছে, যাকে বর হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছিল, তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। আর এই খবরটা বিয়ের আগের মুহুর্ত পর্যন্ত জানতে পারেন নি কনেপক্ষ। কাজেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। কনে মন্ডপে এসেই দেখেন, বর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বসতে পারছে না। সেটা দেখেই তিনি জ্ঞান হারান।
এরপরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জ্ঞান ফিরে আসার পরে, তিনি বরকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। বলেন যে তিনি একজন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকি জীবন কাটাতে পারবেন না।
উভয় পরিবারই কনেকে বিয়েতে রাজি করানোর চেষ্টা করলেও কনে অনড় ছিল।
কনের পরিবারের দাবি, বিয়ের দিন পর্যন্ত তারা জানতেন না যে বর শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। মধ্যস্থতাকারী ও বরের পরিবার তার অক্ষমতা লুকিয়ে রেখেছিল বলে দাবি কনের মা ও বোনের।
তারা আরও বলেন, বরের অক্ষমতার কথা জানলে তারা বিয়েতে রাজি হতেন না।
তবে কনের রাজি না হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। কনের বাবা অভিযোগ করেন, বরের পরিবার প্রতারণা করেছেন। বরের বাবা বলেছেন, কনের পরিবার সবকিছু দেখে বিয়ে ঠিক করেছে কিন্তু এখন তারা তা অস্বীকার করছে।
তিনি আরও বলেন যে তারা কনের পরিবারের কাছ থেকে কোনও যৌতুক দাবি করেননি।তারাই বিয়ের জন্য তাদের ১ লাখ টাকাও দিয়েছে।
এদিকে উভয় পরিবার থানায় পৌঁছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।