বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলামিনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ২০১২ সালে নাদিরা ও আলামিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তানিসা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আলামিন তেমন কোনো কাজ করতেন না। নাদিরা দিনের বেলায় মুড়ির মিলে, সন্ধ্যায় নিজের দোকানে চা বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
নিহতের ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৮টায় ফোন করে জানানো হয় নাদিরা অসুস্থ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
পরে হাসপাতালে এসে দেখি বোন আর বেঁচে নেই। তিনি অভিযোগ করেন, নাদিরাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারপর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে।
নগরীর লবণচরা থানার ওসি এনামুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নাদিরার ভাই তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে আলামিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।