১৪৬ বছরে এবার দ্বিতীয়বার আসছে তীব্র গরম, তাপ-প্রবাহ, বাড়তে পারে মৃত্যু, কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ এই বছর দেশ এমন এক গরম আবহাওয়া দেখতে চলেছে, যা ঘটেছিল প্রায় ১৪৬ বছর আগে। কাজেই, ইতিমধ্যেই, আবহাওয়া দপ্তর সাবধান করে দিয়েছে দেশ-বাসীকে। একইসঙ্গে চিকিতসকরা জানাচ্ছেন, আসন্ন ভয়ঙ্কর গ্রীষ্মে যারা বাইরে যেতে বাধ্য হন, বাসে বা অন্য যানবাহনে চড়েন, বা যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে যাবেন, তারা কীভাবে চললে, নানা ধরণের আকষ্মিক বিপদ বা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 

গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তা হল - বমি, ডায়রিয়া, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাইগ্রেন, ডিহাইড্রেশন, পেট খারাপ, ত্বকের সমস্যা।
 গ্রীষ্মকালে বাসে, গাড়িতে ভ্রমণ করলে দেখা দিতে পারে মোশন সিকনেস। 
অবশ্য, এটা সব ঋতুতেই হতে পারে। গাড়িতে বমি হওয়া এটার লক্ষণ। এটা কোনো রোগ নয়। এতে মস্তিষ্ক অভ্যন্তরীণ কান, চোখ ও ত্বক থেকে বিভিন্ন সংকেত পায়। যার ফলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং এই সমস্যা হতে শুরু করে। 
এছাড়া হিট স্ট্রোক। কোভিড-পরবর্তী সময়ে এটা একটা বড় সমস্যা হতে পারে। এখন, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন দুর্বল, তেমনি মানুষ ব্যায়াম করাও বন্ধ করে দিয়েছে। কাজেই এই ব্যাপারটা খেয়ালে রাখতে হবে।
আসন্ন বা চলতি গ্রীষ্মে প্রথমেই মনে রাখুন কী কী করতে হবে। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। তৃষ্ণা না লাগলেও জল পান করুন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে রোদে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। সুতির পোশাক পরুন। 

বাসে বা গাড়িতে বমি বমি ভাব অনুভব করলে কী করবেন - 

এক কাপ গরম জলে লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে পান করুন। লবঙ্গ ভাজুন এবং পিষে নিন। গাড়িতে যাওয়ার সময় এক চিমটি গুঁড়ো লবঙ্গে চিনি বা কালো লবণ মিশিয়ে চুষতে থাকুন। ছোট এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন। পুদিনা ট্যাবলেট বা তরল সিরাপ সঙ্গে রাখুন। এতে পেট ঠাণ্ডা হবে। আপনি যদি বাসে ভ্রমণ করেন তবে সিটে বসার আগে কাগজ রাখুন এবং তারপরে বসুন। এতে বমি হবে না। 
রাতে শোয়ার আগে স্নান করুন। 
এসি রুম থেকে উঠে সরাসরি সূর্যের আলোতে যাবেন না। 
রোদ থেকে আসার পরপরই হাত ও মুখ ধোবেন না। বাইরে থেকে আসার পর ৫-১০ মিনিটের মধ্যে যখন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায়, তখন ঠাণ্ডা জল পান করুন। 
মাথা ঘোরা অনুভব করলে প্রথমে এমন একটি জায়গায় বসুন যেখানে ছায়া আছে। সম্ভব হলে শুয়ে থাকুন এবং পা সামান্য উপরে তুলুন। এর পরে ওআরএস, গ্লুকোজ, যা সহজেই পাওয়া যায় তা পান করুন। 
কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলে বা বমি করল্র – তাকে পান করার জন্য কিছু দেবেন না। শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য নিজের থেকে ওষুধ দেবেন না। যদি শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে বা কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রোগীকে এমন ঘরে রাখবেন না যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো থাকে।
কী কী খাবেন, শরীর ঠিক রাখতে
 কলায় রয়েছে ফাইবার। ডায়রিয়ায় প্রচুর কলা খাওয়া উচিত। এটি পাকস্থলী ও হজম প্রক্রিয়া ঠিক করে দেয়। মনে রাখবেন ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খান। কাঁচা কলা খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। পেট খারাপ হলে দই খান। দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে। এছাড়াও দইয়ে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া। যা ডায়রিয়ার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। 
দইয়ের মধ্যে ভাজা জিরা গুঁড়ো, কালো লবণ এবং শুকনো পুদিনা পিষে আপনি রাইতাও তৈরি করতে পারেন। এটি পেটের জন্য খুবই উপকারী। গরমে পেট গরম রাখতে বা দূর করতে লেবু জল পান করুন। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। যা দ্রুত স্বস্তি দেয়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad