এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেট কমপ্লেক্সের জায়গাটি এতটাই সংকীর্ণ ছিল যে ফায়ার ব্রিগেডকর্মীরা উদ্ধার অভিযানের সময় প্রচুর বাধার মুখোমুখি হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনের দম বন্ধ হয়ে যায়। তাদের তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দমকল কর্মীরা জানান, "সংকীর্ণ স্থানের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। কিছু দোকানের শটার বিকৃত করা হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আগুন পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।"
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সন্তোষ কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর জন্য এএফও ও ডিএফওর নেতৃত্বে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৯০ জন প্রশিক্ষিত কর্মী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। ভুবনেশ্বর থেকে দমকল বাহিনী এবং উন্নত উদ্ধারকারী টেন্ডার পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে কটকের দমকল আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। দমকলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "আমরা আশাবাদী যে ফায়ার অফিসারের তত্ত্বাবধানে শীঘ্রই আগুন নেভানো হবে। "গতকাল রাতে কোনও দৃশ্যমানতা ছিল না এবং আমাদের ফোকাস ছিল উদ্ধার অভিযানের দিকে। যাইহোক, আমাদের কর্মীরা তাদের জীবন বাজি রেখে এই প্রক্রিয়ায় অনেক লোককে উদ্ধার করেছে। তারা কমপ্লেক্স থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডারও নিয়ে যায়। তা না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতো।" পুরীর এসপি কানওয়ার বিশাল সিং আশ্বাস দিয়েছেন যে কয়েক ঘন্টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হবে। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মী ও ওডিআরএএফ টিম পর্যাপ্ত সংখ্যক দমকল কর্মী নিয়ে কাজ করছে। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন এবং দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলাহবে বলে তারা আত্মবিশ্বাসী।