বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ জন। জানা গেছে, এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নভি মুম্বই এবং পানভেল শহরের হাসপাতালগুলিতে বেশ কয়েকজন রোগীকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এমজিএম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
সূত্রের খবর, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী রায়গড় জেলার খারঘর এলাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আধ্যাত্মিক নেতা এবং সমাজ সংস্কারক আপ্পাসাহেব ধর্মাধিকারীকে এই পুরষ্কার প্রদান করেছিলেন। ধর্মাধিকারীকে মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর লক্ষ লক্ষ অনুগামী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মানুষ জড়ো হতে থাকে। অংশগ্রহণকারীদের উন্মুক্ত স্থানেই বসতে হয়েছিল। তখন, ওই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টনাস্থলে কর্তব্যরত রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "মোট ১২৩ জন লোক এই অনুষ্ঠানের সময় ডিহাইড্রেশনের মতো তাপজনিত অসুস্থতার অভিযোগ করেছিলেন। তাদের তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে রাখা ৩০টি মেডিকেল বুথে রেফার করা হয়। ১৩ জন রোগীকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর (সিএমও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সানস্ট্রোকের কারণে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এক টুইটবার্তায় ফড়নবিশ বলেন, 'এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও বেদনাদায়ক যে আজ সকালে মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজন সদস্য হিটস্ট্রোকের কারণে মারা গেছেন। এদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। আমরা তাদের পরিবারের দুঃখে অংশীদার।'
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও বলেন, অসুস্থদের চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন এবং তথ্য নিয়েছেন এবং চিকিৎসকদের যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রশাসন সম্পূর্ণ সমন্বয় বজায় রাখছে এবং আমরা ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
এনসিপিএর পক্ষে সুরজ চৌহান বলেছেন যে "সরকারের অবহেলার কারণে" নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।