তাই প্রতিদিন এখানে ছুটে আসছেন অসংখ্য মানুষ – তাদের পার্থিব আকাঙ্খা পূরণের জন্য।
জানা গেছে, এই কামনা পুকুরটি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ার বানিপুরের ইটনা কলোনিতে অবস্থিত। আর এই পুকুরের ধারেই তৈরী করা হয়েছে হরিচাঁদ গুরুচাঁদের মন্দির।
সুস্বাস্থ্য, রোগ নিরাময় আর সন্তান লাভ – মূলতঃ এই তিন কামনা নিয়ে এখানে সমবেত হন ভক্তরা। পূজার দ্রব্যাদি ক্রয় করে পুকুরের জলে পূজা। তারপর জলে নেমে কামনা জানিয়ে ডুব। এরপর সংলগ্ন মন্দিরে পূজা দিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়া।
এইভাবেই চলছে কামনা পুকুরে আগত ভক্তদের রোজনামচা।
এখানকার মানুষের দাবি, এই পুকুরের জলে এমন কিছু আছে, যা শরীরের রোগ নিরাময় করতে পারে। আর এই বিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে সূদূর সুন্দরবন থেকেও ছুটে আসছেন মহিলা ও পুরুষের দল।
স্থানীয়দের দাবি, অনেকেই উপকৃত হয়েছে। এখানে স্নান করে বহু মহিলা মা হতে পেরেছেন, এরকম দাবিও শোনা গেছে।
তবে, লোকশ্রুতি যাই হোক না কেন, এখনো পর্যন্ত এই পুকুরের জল নিয়ে গবেষণা হয়নি, তাই এর পিছনে ঠিক কী বৈজ্ঞানীক সত্য আছে তা জানা যায় নি। বিশ্বাস করা হয় যে এই পুকুরে রহস্যময় এক শক্তি রয়েছে যা ইচ্ছা পূরণ করতে পারে। তাই, শুধু বিশ্বাসে ভর করেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে এই ‘অলৌকিক’ পুকুরে।