নতুন দিল্লিঃ “'জন-গণ-মন' এবং 'বন্দে মাতরম' সমস্ত স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাওয়া হবে"। জাতীয় সঙ্গীত 'জন-গণ-মন'-এর সাথে সমানভাবে 'বন্দে মাতরম'কে সম্মান জানানোর জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে একটি পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইমামলায়) নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে যে "ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করা 'বন্দে মাতরম' গানটিকে 'জন-গণ-'-এর সাথে সমানভাবে সম্মানিত করা হোক। ভারতের সংবিধানের ২২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে যে ২৪ শে জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে জাতীয় সঙ্গীতের বিষয়ে গণপরিষদের চেয়ারম্যান ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তার চেতনায় এর সাথে সমান মর্যাদা থাকবে"।
আবেদনকারী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়, অনুশীলনকারী আইনজীবী এবং বিজেপি নেতা বলেছেন যে ভারত রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন এবং রাজ্যগুলির একটি সমিতি বা কনফেডারেশন নয়৷ প্রত্যেক ভারতীয়ের কর্তব্য 'বন্দে মাতরম' কে সম্মান করা । "দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য, জনগণ মন এবং বন্দে মাতরমের প্রচারের জন্য একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা সরকারের কর্তব্য।" জন গণমনে প্রকাশিত অনুভূতিগুলির মতো বন্দে মাতরমে প্রকাশিত অনুভূতিগুলি জাতির চরিত্র এবং শৈলীকে নির্দেশ করে এবং একই সম্মানের দাবি রাখে। যখন বন্দেমাতরম বাজানো হয়/গাওয়া হয় তখন সম্মান দেখানো প্রত্যেক ভারতীয়র কর্তব্য," বলে আবেদন রাখা হয়েছে।।
আবেদনকারী বলেছেন যে বন্দে মাতরম আমাদের ইতিহাস, সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং গর্বের প্রতীক। কোনো নাগরিক যদি কোনো প্রকাশ্য বা গোপন কোনো কাজ করে তাকে অসম্মান করে, তাহলে তা শুধু একটি অসামাজিক কার্যকলাপই হবে না বরং এটি একটি সার্বভৌম জাতির নাগরিক হিসেবে আমাদের সকল অধিকার ও অস্তিত্বকেও বিনষ্ট করবে। তাই প্রত্যেক নাগরিকের শুধু এ ধরনের কোনো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত নয়, কোনো দুর্বৃত্ত 'বন্দে মাতরম'-এর প্রতি অসম্মান দেখানোর চেষ্টা করছে কিনা তা প্রতিরোধ করার জন্যও যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।