নিউজ ডেস্কঃ বছরের পর বছর ধরে একটা অদ্ভুত প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটা হল, কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই সেটাকে প্রথমেই ‘মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা’ হিসাবে বলে দেওয়ার একটা অদ্ভুত প্রবণতা রয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বা ভিসেরা রিপোর্ট আসার অনেক আগেই এটা করা হচ্ছে। এক শ্রেনীর মিডিয়া এই ধরণের ঘটনা ঘটার পর বিষয়টি নিয়ে সাইকোলজিস্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রমান করার চেষ্টা করেন ওই অভিনেতা বা অভিনেত্রী যে কোন ব্যাপারে মানসিক চাপে ছিলেন। কেন এই প্রবণতা?
তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই, এই ভাবে অভিমুখ নির্দেশ করে দেওয়াটা কি ঠিক? কয়েকজনের মুখের কথায় কি সত্যি ধরে নেওয়া যায়, তারা অবসাদের কারণেই আত্মহত্যাই করেছেন, খুন হতে পারে না? দিব্যা ভারতী, পারভিন বাবি সহ সাম্প্রতিক কালের পল্লবী দে, বিদিশার ক্ষেত্রেও সেটাই বলা হল। শুধুমাত্র প্রাথমিক তদন্তের পর, এই ধরণের জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ‘মানসিক চাপ’ বা ‘অবসাদ’ এর তত্ব পরোক্ষে শুধু সেই মৃত ব্যাক্তির প্রতি অসম্মান জানানো তাই না, এটা সমগ্র শিল্পী সমাজের দিকেও আঙ্গুল তোলে।
অভিনয়ের জগত মানেই অবসাদের জগত। এতো সহজে এক শ্রেণীর মিডিয়ার এই আরোপ করা তত্ব যে ভিন্ন বার্তা দিতে পারে, সে ব্যাপারে অনেক সময় তারা ভাবে না। পরবর্তীকালে দেখা যাবে, সত্যি সত্যি খুন হলেও অবসাদের কারণে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, অভিযোগ, প্রয়োজনে পোস্টমর্টেমও বদলে দেওয়া হয়।