কলকাতাঃ
বিগত কয়েকদিনের মধ্যে তিন অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু কলকাতায়। সবকটাই গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এবার মৃত অভিনেত্রীর নাম মঞ্জুষা নিয়োগী। বৃহস্পতিবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করা হয় তার ঝুলন্ত দেহ। যথারীতি একানেও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে মানসিক অবসাদ তত্ব, যদিও এখনো পোস্টমর্টেম বা ভিসেরা টেস্টের ফল আসেনি। তদন্তও সেভাবে শুরু হয়নি। বিগত কয়েকটা দিনের মধ্যেই তিন তিনজন অভিনেত্রী চলে গেলেন।অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে, এই অস্বাভাবিক মৃত্যুগুলোকে নিয়ে। কোথায় যেন মনে হচ্ছে, কিছু একটা রহস্য আছে। কী সেই রহস্য সঠিকভাবে তদন্ত হওইয়ার আগেই চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘অবসাদ’ তত্ব। জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধু ছিলেন তিনি। বিবাহিত মঞ্জুষা চার পাঁচ দিন আগেই বাপের বাড়িতে আসেন। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, 'বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারাদিন বিদিশার কথাই বলছিল। বারবার বলছিল যে আমিও বিদিশার মতো করব।' মঞ্জুষার মায়ের আরও দাবি, 'কালও ভাল মনে শ্যুটিং সেরে এসেছিল। বিয়ের পর জামাই বলতো যে এত কাজ একসঙ্গে করতে হবে না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল বলে শরীর রোগা রাখত, খাওয়াদাওয়া কম করত। আমিও বলতাম ভাল করে খাওয়া দাওয়া করত। না খেলে রোগ হবে। কিন্তু তার আগেই ও নিজেকে শেষ করে দিল।'
এলাকার কিছু মানুষের দাবি, তার ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও যায় নি, সম্ভবত এই নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটিও হয়। বারবার অভিনেত্রীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার পর 'অবসাদ তত্ব' চাপিয়ে দেওয়াটাকে সমর্থন করছে না অনেকেই। তারা মনে করছেন, এর ফলে তদন্ত সঠিক পথে নাও এগোতে পারে। এ ব্যাপারে কিছু মিডিয়ার আগাম কথা বলা, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাতকার নেওয়াকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না তারা।