ওই চিকিৎসকের মেয়ে অনুজা সরোজ জানিয়েছেন, তিনি লালি মোরগটিকে তাঁর ভাই মনে করতেন। মৃত্যুর পর দু'দিন বাড়িতে রান্না চড়েনি। রাখি বন্ধনের দিন মোরগের পায়ে রাখি বাঁধতেন তিনি।ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার ফতনুপার থানা এলাকার বেইয়াউল কালা গ্রামে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে একটা মোরগের মৃত্যুর পর তাকে দাহ করা হয় এবং নিমন্ত্রিত ৫০০ জন গ্রামবাসীকে শ্রাদ্ধের ভোজ খাওয়ানো হয়। মোরগেরআত্মার শান্তির জন্য মালিক এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রতাপগড় জেলার বেহিয়েউল কালা গ্রামের বাসিন্দা ডাঃ শালিকরাম সরোজ তার বাড়িতে একটি মোরগ এবং একটি ছাগল রেখেছিলেন। মোরগের নাম রাখা হয়েছিল লালি। ঘাড়ের পালকের রঙ লাল বলেই এই নামকরণ। মোরগটিকে সবাই তাকে খুব পছন্দ করতো।
গত ৮ জুলাই একটা কুকুর ওই চিকিৎসকের ছাগলটাকে আক্রমণ করে। ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে কুকুরের সঙ্গে লালি মোরগের মারামারি হয়। শেষপর্যন্ত কুকুরটি পালিয়ে যায়। কিন্তু কুকুরের কামড়ে প্রাণ যায় লালির। অন্যের প্রাণ বাঁচালেও নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি সে। সারা গ্রামে ছড়িয়ে পরে এই ঘটনা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ওই নিহত মোরগ।
মোরগের মৃত্যুর পর মালিক গ্রামবাসীর সামনে শ্রাদ্ধ-ভোজের ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ধর্মীয় রীতি মেনেই মোরগটিকে শেষ বিদায় জানাতে চান তাঁরা। মানুষের মতো শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন। তারপর মোরগের দেহ দাহ করা হয় এবং মাথা ন্যাড়া করা থেকে শুরু করে অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। বুধবার, ত্রয়োদশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৫০০ জন গ্রামবাসীকে খাওয়ানো হয়েছিল। ওই চিকিৎসকের মেয়ে অনুজা সরোজ জানিয়েছেন, তিনি লালি মোরগটিকে তাঁর ভাই মনে করতেন। মৃত্যুর পর দু'দিন বাড়িতে রান্না চড়েনি। রাখি বন্ধনের দিন মোরগের পায়ে রাখি বাঁধতেন তিনি।