আবিষ্কৃত হল বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী ভ্যাকসিন, প্রয়োগ হবে ৩ টি দেশে
7/22/2022 07:19:00 AM
0
ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ ম্যালেরিয়া মশা বাহিত এমন একটা রোগ যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই দেখা যায়।বেশ কয়েকশো বছর ধরে ম্যালেরিয়া আমাদের দেশেও অসংখ্য মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এ্তদিন পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে জন্য মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণটাই ছিল গুরুত্ত্বপূর্ণ একটা বিষয় আর রোগীর ক্ষেত্রে ভরসা ছিল ওষুধ। কিন্তু, এবার এসে গেছে একম্যালেরিয়া-বিরোধী ভ্যাকসিন, যা মানব-সমাজকে মুক্তি দিতে চলেছে বহু বছরের ম্যালেরিয়া নামক ভয়ঙ্কর অভিশাপের হাত থেকে। বহু বছরের গবেষণার পর অবশেষে বিশ্বে প্রথম ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি ৩টি দেশের মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ঘোষণা করেছে বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী ভ্যাকসিনটি আফ্রিকার তিনটি দেশে চালু করা হবে। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) এর তৈরি 'মসকুইরিক্স' নামের এই টিকাটি প্রায় ৩০ শতাংশ কার্যকর এবং এর জন্য চারটি ডোজ প্রয়োজন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা অ্যান্ড গেটস ফাউন্ডেশন এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিশাল তহবিল দিয়েছিল।
লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ডিন অ্যালিস্টার ক্রেইগ বলেন, 'এটি বিশ্বের খুব বড় কোনো ভ্যাকসিন নয়, তবে এর ব্যবহার বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরও একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন মিলতে পারে। কিন্তু আমরা যদি ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তাহলে অনেক মানুষ তাদের জীবন হারাতে পারে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত একটি ভ্যাকসিনের কথা উল্লেখ করে ক্রেইগ বলেন, বায়োএনটেক যে অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল ভ্যাকসিন তৈরি করছে তা 'মেসেঞ্জার আরএনএ' প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে, তবে প্রকল্পটি এখনও তার শৈশবে রয়েছে। ম্যালেরিয়া-বিরোধী টিকার পথে আরেকটি বড় বাধা হচ্ছে সহজলভ্যতা। জিএসকে বলছে, ২০২৮ সালের মধ্যে তারা বছরে মাত্র দেড় কোটি ডোজ উৎপাদন করতে পারবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে সুরক্ষা দিতে কমপক্ষে ১০ কোটি টিকার প্রয়োজন হবে। এই অবস্থায় এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রযুক্তি কোনও ভারতীয় ওষুধ সংস্থাকে দেওয়া হতে পারে। যদি এটি করা হয়, তবে ভ্যাকসিনের বড় আকারের উত্পাদনের জন্য এখনও কয়েক বছর সময় লাগবে।
Tags