ইতিমধ্যে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মোট ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনা, ২১ কোটি ২০ লক্ষ নগদ টাকা, বিদেশী টাকা যা ভারতীয় মূল্যে ৫৪ লক্ষ টাকা। এছাড়া কলতার বিভিন্ন জায়গায় ৮ টি ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার করেছে ইডি। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা টাকার বান্ডিলে দেখা গেছে, এস এস সি র খাম। তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ছাড়াও ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আর একটি নাম রয়েছে ইডি স্ক্যানারে। তিনি হলেন মোনালিসা দাস। বাড়ি শান্তিনিকেতনে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, মোনালিসা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। ইডি মোনালিসার নামে কমপক্ষে ১০টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান।
কে এই অর্পিতা মুখার্জি?
জানা গেছে, অর্পিতা একজন অভিনেতা যিনি কয়েকটি ওড়িয়া, বাংলা এবং তামিল চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার ফেসবুক বায়োতে লেখা রয়েছে, "একজন মাল্টি-ট্যালেন্টেড বহুমুখী অভিনেতা, টলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন।“ তিনি ২০০৯ সালে বাঙালি সুপারস্টার প্রসেনজিত্ চ্যাটার্জির সাথে 'মামা ভাগনে' ছবিতে এবং ২০০৮ সালে অভিনেতা জিতের সাথে 'পার্টনার' ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০১৯ এবং ২০২০ সালে নাকতলা উদয়ন সংঘ নামে পরিচিত পার্থ চ্যাটার্জির দুর্গা পূজা কমিটির প্রচারমূলক প্রচারের মুখও ছিলেন। অনেকে মনে করেন, দুর্গাপুজো কমিটির মাধ্যমে মন্ত্রীর সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যোগাযোগ হয়। তিনি ২০১৯, ২০২০ সালে নাকতলা উদয়ন সংঘ দুর্গাপূজা কমিটির জন্য প্রচারের মুখ ছিলেন।
অর্পিতা বা মোনালিসা কী ভাবে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও সম্পত্তি জোগাড় করলেন, কী ভাবে এই সবের পিছনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।