বাঁশবেড়িয়ার ঐতিহাসিক রঘু ডাকাতের কালী বাড়িতে শ্রীশ্রী মহাচন্ডী যজ্ঞ করলেন ১০০ জন মহারাজ
7:23:00 PM
0
নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলিঃ রঘু ডাকাতের নাম শোনেনি এরকম বাঙ্গালী এপার বা ওপার বাংলার কোথাও বোধহয় পাওয়া যাবে না। আজ ৫০০ বছর পার হয়ে রঘু ডাকাত এখন উপকথায় পরিণত হয়ে গেছে। গরীবদের প্রতি ভালোবাসার কারণে রঘু ডাকাতকে গরীব মানুষরা মানবরূপে দেবতা হিসাবে পূজা করত। রঘু ছিল এই বাংলার রবীন হুড। রঘু ডাকাতদের একটি প্রথাগত অভ্যাস ছিল যে তারা বাড়ির মালিকদের তাদের বাড়িতে যে ডাকাতি হবে, সে ব্যাপারে আগেভাগেই জানিয়ে দিত। তবে, মহিলাদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ছিল। রঘু ডাকাত মহিলাদের কখনো মূল্যবান জিনিস দিতে বাধ্য করেনি। ডাকাতরা অপেক্ষা করতো। মহিলারা নিজেরাই গহনা এবং অলঙ্কার তাদের হাতে তুলে দিত
জানা গেছে, বাঁশবেড়িয়ার বাসুদেবপুরে রঘু দাকাত ৫০০ বছর আগে কালীপূজা শুরু করেছিলেন। বাঘাটির জয়পুরের বিধু ভূষণ ঘোষ এবং তাঁর ভাই রঘু ঘোষ পাঁচ শতাব্দী আগে দেবী কালীর বর্তমান দেবতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজও দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ভক্ত দীর্ঘ লাইনে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে এই বিশ্বাস নিয়ে যে মায়ের প্রসাদ তাদের সমস্ত অসুস্থতা দূর করবে এবং জীবনের দুর্ভাগ্য দূর করবে।
আজ সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া পৌঁরসাভার ২১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক রঘু ডাকাতের কালী বাড়িতে ১০০ জন মহারাজ শ্রী শ্রী মহাচন্ডী যজ্ঞ করলেন। এই মহাযজ্ঞে মায়ের আরাধনা করলেন এবং সমস্ত মহারাজদের উত্তরীয় প্রদানের মধ্য দিয়ে বরণ করে নিলেন এবং ভক্তদের ভোগ প্রসাদ বিতরণ করলেন সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত।
এই ঐতিহাসিক যজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী, জেলা পরিষদের উপাধক্ষ্য নিষেস ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চ্যাটার্জি, পৌর সদস্যা পায়েল ব্যানার্জি, মিনতি ধর, বিশিষ্ট সমাজ সেবী দেবরাজ পাল, মোগরা দু নম্বর অঞ্চলের প্রধান, সমস্ত সদস্য সদস্যা গণ।