পুলিশ জানিয়েছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চর জিয়া নগর চৈইয়াল বাড়ির হাবিবুল্লাহর ছেলে আহমদ শাহ গত পাঁচ দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রোববার হাজীগঞ্জ থানায় হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, কোহিনুর বেগম হাবিবুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। সুকৌশলে স্বামীর আগের সংসারের ছেলে আহমদকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তার শিশুকে হত্যা করে বাবার বসতঘরে পুঁতে রেখে স্বামীর বাড়িতে চলে যান। এরপর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন স্থানীয় প্রশাসনকে জানান।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর তার সৎ ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছেন কোহিনূর বেগম। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেটি অবুঝ শিশু আহমদকে হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত এ নারীকে আটকের মধ্য দিয়ে পুলিশ প্রমাণ করেছে।