বিগত দিনের ঘটনাপ্রবাহকে সামনে রেখে ভয়েস ৯ এর নানা প্রশ্নের উত্তরে আভিভাবকদের একটা বিরাট অংশ এ ভাবেই তাদের মতামত দিয়েছেন।
দূর্নীতি বা টাকা উদ্ধার, প্রাক্তন উচ্চ-শিক্ষামন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী বা অর্পিতা প্রসংগ তারা সযত্নে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। অনেকে বলেছেন, ঘটনার পুনারাবৃত্তি না হলেই ভালো। এতে শিক্ষাজগতের মুখটাই উজ্জ্বল হবে।
কেউ কেউ বলেছেন, শিক্ষা দপ্তর এমন একটা দপ্তর, যেখানে দূর্নীতি হলে তার প্রভাব সূদুরপ্রসারী হয়। ছাপ পড়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের নাগরিকদের উপর। শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক তা নষ্ট হয়। সব শিক্ষককেই তখন সন্দেহের চোখে দেখা হয়। এম মহিলা অভিভাবক বলেছিলেন, দেখুন সমগ্র শিক্ষক সমাজ যাতে কলঙ্কিত না হয়, সেটাও দেখা দরকার। একজন অঙ্কিতা অধিকারীর জন্য হাজার অঙ্কিতাকে যেন ভুগতে না হয়। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা আছে। সেটা মনে রাখার দায় সকলের। সরকারের, রাজনৈতিক নেতাদের, এমনকি শিক্ষকদেরও।
উল্লেখ্য, পার্থ চ্যাটার্জিকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার আরও এক মন্ত্রীকে তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন। তিনি হলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী।
কলকাতা হাইকোর্টে একটি পিআইএল দায়ের করে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে অপসারণের নির্দেশ চাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল যে তিনি কথিত এসএসসি কেলেঙ্কারির অন্যতম সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন। পরেশ অধিকারী তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে "অনৈতিকভাবে তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে উচ্চ মাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করার জন্য" অন্য যোগ্য প্রার্থীকে অবৈধভাবে সরিয়ে দিয়েছিলেন।