রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টুটুল উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মুল্লিকের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর নিহত গৃহবধূ আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মুল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর দুপুরে গৃহবধূ বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়ানো ও জমি দেখতে যান। এসময় টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু গৃহবধূর প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে তাকে শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ধান ক্ষেতে লুকিয়ে রাখে। এদিন রাত ৩ টার দিকে লাশ ধান ক্ষেতের আরও দূরে নিয়ে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় একই বছরের ৬ নভেম্বর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে পুলিশ আটক করে। পরে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় এবং তার দেওয়া তথ্য মতে লুকিয়ে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী চোধুরী রাজিয়া সুলতানা টুলটুলি বলেন, আমরা সংক্ষুব্ধ। কারণ আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি- আমার মক্কেল সেখানে ন্যায়বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।
তবে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।