নয়ডা থেকে অলোকেশ শ্রীবাস্তব
২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে সেক্টর ৯৩এ-তে অবস্থিত এই দুটি টাওয়ার ভেঙে ফেলার প্রথম নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্ট এক বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল এই টুইন টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলা হবে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষ। আজ সেই দিন। এই দুটি ভবনেই মোট ৮৫০টি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এই টুইন টাওয়ার নিয়ে ব্যপক প্রস্তুতি নেওয়া হয় অনেক আগে থেকেই।নয়ডা পুলিশ ২৬ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শহরের আকাশে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। আজ এই বিষ্ফোরণের আগেই এক নটিক্যাল মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে বিমান চলাচল কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হবে। রাখা হয়েছে, ১০ টি অ্যান্টি-স্মোগ গান, দমকলের অসঙ্খ্য ইঞ্জিন, বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স। সব মিলিয়ে যেন যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি। সময় যত এগোচ্ছে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের অফিসারদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। এই নয়ডা টুইন টাওয়ার কভার করার জন্য সাংবাদিকদের একটি এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে তারা সমস্ত দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করতে পারে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে। সেখানে দেওয়া আছে সময়-নির্ঘন্ট।
দুপুর ১.৪৫ মিনিট - ধ্বংসের আধ ঘন্টা আগে সাইটের একটি বিস্তারিত পরিদর্শন করা হবে।
দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট : নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ থাকবে।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিট – ভাঙ্গার কাজ শুরু হবে।
দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিট : নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
বিকাল ৪টা- ফ্ল্যাটগুলোতে পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে। সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগবে।
বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট - আশপাশের লোকজনকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে, ডেপুটি সিএম ব্রজেশ পাঠক টুইন টাওয়ার নিয়ে সমাজবাদী পার্টিকে নিশানা করেছেন। রবিবার এক টুইট বার্তায় টুইন টাওয়ারকে এসপি'র দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, আজ এই ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।