জানা গেছে, ২০১৫-১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১ কোটির বেশি সাইকেল বিলি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সাইকেল পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পড়ুয়ারা। তারপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গেছে, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে প্রকল্পের উপভোক্তাদের নামের যে তালিকা রয়েছে, স্কুলগুলি সেই হিসাবমতো সংশোধিত তালিকা পাঠিয়েছে। এর ফলে, মোট কত সাইকেল লাগবে, তার একটা হিসাব পাওয়া গেছে। এবারে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল প্রতি কত সাইকেল লাগবে এবং কারা পাবে, ছাত্র ও ছাত্রীদের সংখ্যা কতো তার একটা তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেছে। দেখা গেছে প্রায় ১২ লক্ষের মতো ছেলে ও মেয়েদের সাইকেল লাগছে।
ওয়ার্ক অর্ডারের পর সাইকেল তৈরি হয়ে আসতে মোটামুটি ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তারপর, সাইকেল এলে স্কুলকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ২-৩ মাস ধরলে, স্কুল থেকে সাইকেল পেতে ডিসেম্বর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, সাইকেল বন্টন করার সময় বেশ কিছু স্কুল ভোক্তা-পিছু ৩০-৩৫ টাকা দাবি করেছিল বলে একটা অভিযোগ উঠেছিল। যদিও, স্কুল কর্তৃপক্ষ এটা অস্বীকার করে বলেছিল, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, সাইকেল বন্টনের আগে এ ব্যাপারটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলে তাদের সুবিধা হয়। অন্যদিকে, আরো একটা অভিযোগ আছে, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বহু সাইকেল এমন অবস্থায় হাতে আসে, যেটা ভালোভাবে না সারিয়ে চাপা যায় না। সেখানে সাইকেল পিছু ৩০০-৩৫০ টাকা নেয় সাইকেলের দোকানগুলো।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর দুই ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ—এই তিন জেলায় ১ লক্ষের বেশি সাইকেল দেওয়া হবে।