উন্নত ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ৪৭ বছর আগে নিখোঁজ ও নিহত কিশোরীর হাড়গোড় থেকে সনাক্ত করা হল তাকে

ভয়েস ৯, ইন্টারন্যাশানাল ডেস্কঃ প্যাট্রিসিয়া অ্যাগনেস গিলদাওয়িকে শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। তারপর তার আর কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। এমনকি জানা যায়নি আদৌ সে বেচে আছে কিনা। তার পরিবার সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।

 কিন্তু, ২১ বছর আগে ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টিতে মাটি খোঁড়ার সময় কিছু লোক মাটির নীচ থেকে একটি কঙ্কাল খুঁজে পায়। সেটা ছিল ২০০১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। কঙ্কালের দায়িত্ব যায় ভার্জিনিয়া পুলিশের হাতে। কিন্তু সেটি কার কঙ্কাল? হারিয়ে যাওয়া প্যাট্রিসিয়া অ্যাগনেসের কি? জানা যায়নি। কারণ ফরেন্সিক সায়েন্স বা ডিএনএ টেস্ট এর অত্যাধুনিক পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়নি। কাজেই সেই কঙ্কাল পড়ে থাকে। এর মধ্যে কেটে যায় আরো ২০ বছর। 

এই বছর, কোল্ড কেস গোয়েন্দারা টেক্সাস-ভিত্তিক একটি গবেষণাগার ওথরাম ইনকর্পোরেটেডের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তারা গোয়েন্দাদের উন্নত ডিএনএ পরীক্ষা এবং ফরেনসিক-গ্রেড জিনোম সিকোয়েন্সিং সরবরাহ করে। এই পরীক্ষায় একজন সৎ-বোনকে খুঁজে পাওয়া যায় যিনি গিলদাওয়িকে হত্যা করেছিলেন। এরপর ওই অত্যাধুনিক ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় ২১ বছর আগে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি আসলে ৪৭ বছর আগে নিখোজ প্যাট্রিসিয়া অ্যাগনেস গিলদাওয়ির। 

গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে গিলদাওয়ি ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আট মাস বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে গিলদাওয়ি ফেয়ারফ্যাক্স শহরে চলে যান। ১৭ বছর বয়সে নিখোঁজ হওয়ার আগে, গিলদাওয়ি একজন বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে ডেটিং করছিলেন। তিনি ভিয়েনার চার্চ স্ট্রিট এবং লয়ার্স রোডের সংযোগস্থলের কাছে একটি গৃহসজ্জার দোকানে কাজ করতেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad