সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। উদ্ধার কাজে স্থানীয়রাও সহযোগিতা করছেন। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ও আহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ।
স্থানীয় সূত্রে জানান, রাত থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টির মধ্যেই রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের শলেয়াশাহ খারুভাজ সেতুর কাছে যাত্রীবাহী জোয়ানা পরিবহনের সঙ্গে ইসলাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা বৃষ্টিতে ভিজে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যেই রাত সাড়ে ১২টার দিকে খারুভাজ সেতুর কাছে দিনাজপুর ছেড়ে ঢাকাগামী জোয়ানা পরিবহণের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ইসলাম পরিবহণের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুটি বাসে অন্তত ৮০ জন যাত্রী ছিলেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা বৃষ্টিতে ভিজে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।
এদিকে রমেক হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, রাতে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। মেডিক্যালে আরো মারা গেছে কিনা আমার কাছে এখন পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে। তবে নিহতদের দুজনের পরিচয় মিলেছে একজনের নাম জীবন অন্যজনের নাম ধনঞ্জয়।