বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকঃ উঠতে পারে জলবন্টন, রোহিঙ্গা প্রসংগ

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করেছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। সে বোনের মতো, আমি যখন খুশি তার সঙ্গে দেখা করতে পারি।
অলোকেশ শ্রীবাস্তব, নতুন দিল্লিঃ আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় তাকে স্বাগত জানানো। দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে উষ্ণ অভ্যর্থনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই আমি ভারতে আসি, এটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানকে আমরা সব সময় স্মরণ করি। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনীতির উন্নয়ন করা। আমি মনে করি, এই সব বিষয় নিয়ে আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে, যাতে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মানুষই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ আরও উন্নত জীবন পায়। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আজ একাধিক চূক্তি হবার কথা। প্রতিবেশি দু দেশের মধ্যে মোট ৭ টি চূক্তি হবার কথা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন, পরে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উঠতে পারে দুই দেশের অভিন্ন নদীর জল-বন্টনের কথাও। কথা হতে পারে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও। একই সঙ্গে এই সফরে দুই দেশের মধ্যে যে এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক যোগাযোগের উদ্যোগ সম্প্রসারণ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। ভারত ও বাংলাদেশ বছরের পর বছর ধরে বেশ কয়েকটি সংযোগের উদ্যোগকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য একটি মডেল তৈরি করার চেষ্টা করেছে। আখাউড়া-আগরতলা রেল যোগাযোগ শীঘ্রই পুনরায় চালু হবে। এছাড়াও, অনুমান করা হচ্ছে যে আগরতলা এবং চট্টগ্রাম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আকাশপথে সংযুক্ত হবে। গতকাল সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যা মোকাবেলায় ভারত তার দেশকে সাহায্য করার জন্য অনেক কিছু করতে পারে এবং উভয় দেশই যৌথভাবে সীমান্তবর্তী নদীগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করতে পারে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ইস্যুতে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ড্রেজিং করতে বাংলাদেশ ও ভারতের একত্রে কাজ করার কথাও বলেন, যাতে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়। তিনি বলেন, নদীগুলোর ড্রেজিং হলে তাদের প্রবাহ উন্নত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করেছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। সে বোনের মতো, আমি যখন খুশি তার সঙ্গে দেখা করতে পারি। আমাদের মধ্যে সব সময় সুসম্পর্ক ছিল," বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad