বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এমন কোনও আইন নেই যে লোকেরা রাতে যেতে পারে না। ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেনরা অনুমতি দিলে রাত ২টোতেও মানুষ পার্কে প্রবেশ করতে পারবে।

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ
রাতে আসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে জিপ সাফারি করেছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী এইচবি শর্মা, সদগুরু জে বাসুদেব ও আরো কয়েকজন। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে সন্ধ্যার পরে জিপ সাফারিরকরা যায় না। এতে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন হয়, এই অভিযোগে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরু এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রবিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কারণ সন্ধ্যার পর গাড়ির হেডলাইট জ্বালানো বা জিপ সাফারি 'বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২' লঙ্ঘন করে। 
 জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায়, সদগুরু জাতীয় উদ্যানে একটি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। হিমন্ত শর্মা ছিলেন সামনে। বাকি অন্যান্য ভিআইপিরা গাড়ির পিছনে বসেছিলেন। উল্লেখ্য, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানটি আগের দিন আসন্ন মরসুমের জন্য পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সাফারির একটি ছোট ভিডিও টুইটারেও শেয়ার করেছিলেন। ইশা ফাউন্ডেশনের নেতা সদগুরু রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং আমলাদের জন্য তিন দিনের চিন্তন শিবিরের উদ্বোধনের জন্য কাজিরাঙায় ছিলেন। গোলাঘাট জেলার বোকাখট পুলিশ স্টেশনে জাতীয় উদ্যানের আশপাশের গ্রামগুলিতে বসবাসকারী লোকেরা এই আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন বলে এক আধিকারিক জানান। 
তিনি বলেন, "পার্কের কাছে মোরঙ্গিয়াল ও বালিজান আদর্শ মডেল গ্রামের বাসিন্দা সোনেশ্বর নারাহ ও প্রবিন পেগুর এই অভিযোগ করেন।আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। যেহেতু কেএনপি বন বিভাগের অধীনে পড়ে, তাই আমরা পার্কের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছি।"  
এ ব্যাপারে কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যানের   নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, 'জনগণের অভিযোগ করার অধিকার আছে এবং তার ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। কিন্তু বিষয়টি খতিয়ে দেখার আগে আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারি না।" বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে ওই আধিকারিক উত্তর এড়িয়ে যান। "আমি মনে করি না যে আমরা এটিকে আইনের লঙ্ঘন বলতে পারি," সন্ধ্যার পরে জিপ সাফারির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে এই আধিকারিক বলেন। 

পরিবেশকর্মী রোহিত চৌধুরী টুইটারে লিখেছেন, '@kaziranga_ সূর্যাস্তের পর সান্ধ্যকালীন সাফারি..!! এটা কি বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন, ১৯৭২-এর ২৭ ধারার লঙ্ঘন নয়? শুধু জিজ্ঞাসা... এটি একটি ফ্লপ চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন @assamforest এবং ফ্লপ ডিরেক্টর @kaziranga_ @ntca_india @SPYadavIFS @moefcc এর ফলাফল। 
 অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এমন কোনও আইন নেই যে লোকেরা রাতে যেতে পারে না। ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেনরা অনুমতি দিলে রাত ২টোতেও মানুষ পার্কে প্রবেশ করতে পারবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad