অসাধু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের আন্দোলন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ কর্মচারীর একসাথে বদলী

বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঢাকা: বাংলাদেশের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দালাল চক্র ও অসাধু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের চিকিৎসকদের আন্দোলনের একদিনের মাথায় হাসপাতালের ১৬ কর্মচারীকে বদলী করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশের মাধ্যমে তাদের বদলী করা হয়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা.শরিফুল আলম। 
ওই আদেশে যাদের বদলি করা হয়েছে তারা হলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহায়ক আল আমিন ইসলামকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে, হামিদুল ইসলামকে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট সদর হাসপাতালে, শাহজাদা মিয়াকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে, মোর্শেদ হাবিবকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাতালে, আবু জাফরকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে, সিরাজুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জ মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বিউটি আক্তারকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষনা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে, দুলাল বসুনিয়াকে পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ভানুরাম সরকারকে ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, নুরুজ্জামানকে সুনামগঞ্জ তাহেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রইস উদ্দিনকে সুনামগঞ্জ জগনাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, মোহিত আল রশীদ উদয়কে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে, ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হাসানকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুল হালিমকে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে, নিরাপত্তা প্রহরী রহমত আলীকে কিশোরগঞ্জ ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরিচ্ছন্নতা কর্মী হাছিনা বেগমকে টাঙ্গাইল ভূয়াপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়েছে। 
আদেশ জারীর ৭ দিনের মধ্যে তাদেরকে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  এ তথ্য নিশ্চিত করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শরিফুল হাসান বলেছেন, সরকারী চাকুরীর বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বদলী করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র ও অসাধু কর্মচারীদের  কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে পদে পদে টাকা গুনতে হচ্ছে সেবা প্রত্যাশীদের। এ থেকে বাদ যায়নি খোদ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরিবারও। দালাল চক্র ও অসাধু কর্মচারীদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মারধরের শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। এ
নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ গেলেও অসাধু কর্মচারীদের হাতে জিম্মি থাকা হাসপাতাল প্রশাসনও তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad