অবস্থা এমন আকার ধারণ করে যে, সৌরভের বহু ফ্যান, যারা তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত, তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এই বঙ্গ-তনয় এর উপর। শেষে সৌরভকে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হয়, তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন না। অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে সরাসরি সৌরভের বেহালার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। অমিত শাহ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সৌরভের আপ্যায়নের সেই ছবি তৎক্ষণাৎ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
পরে এই সৌরভ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে নবান্নে করেন। রেড রোডে এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাকে। আসলে, সৌরভের সঙ্গে রাজনৈতিক হেভিওয়েট নেতাদের দেখা হলেই জল্পনার চাড়া গজিয়ে ওঠে।
আবার সেটাই হলো। নাগপুরে ছিল ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ। সৌরভ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আর সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের । আর এই সাক্ষাৎকার নিয়েই মিডিয়ায় আবার চর্চা। তবে কি ২০২৪ এ মহারাজকে দেখা যাবে রাজনীতির ময়দানে? তার সঙ্গে কী এমন কথা হল শান্তনু ঠাকুরের? আসলে এই দুই আর দুই এ চার নয় পাঁচ করে ফেলাটাই হয়ত কিছুটা সোস্যাল মিডিয়ার ধর্ম।
কিন্তু, এক বাংলা ডিজিটাল দৈনিককে শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, “বাংলার খেলার উন্নতি কী ভাবে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও অনেক কিছু নিয়েই কথা হয়েছে। সবটা বলার নয়।”
আর এই “সবটা বলার নয়।” নিয়েই শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। অমত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীকে আপ্যায়নের সেই ভিডিও আবার চর্চার বিষয় হয়ে উঠছে। কিন্তু, “সবটা বলার নয়।” এই কথাগুলির আড়ালে কী আছে, সেটা সময় বলবে।