কিন্তু এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ প্রতিদিন ভোরে স্থানীয়রা পদ্ম ও শাপলা ছিড়ে বাইরে বিক্রি দিচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
তাই শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে “পদ্ম ছেড়া বন্ধ করি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করি”স্লোগানকে সামনে রেখে পাঁচ দফা দাবিতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডাকাতের ভিটা বিলে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও ভ্রমন পিপাসু পর্যটকবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল, ব্যাংক কর্মকর্তা মাধব চন্দ্র ভ্রম্য, শিক্ষক শেখ আনিচুর রহমান, বাগেরহাট থেকে আগত পর্যটক তারক কুমার সাহা, তার স্ত্রী হ্যাপি সাহা, বরিশালের বানারীপাড়া থেকে আগত আব্দুস সবুর।
দাবিগুলো হলো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় জন্মভূমি ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত বাঘিয়ারকুল ও ডাকাতের ভিটা বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা, পদ্ম কলি, ফুল ও লাল শাপলা সংরক্ষণের জন্য পয়োজনীয় ব্যবস্থা, পর্যটকদের জন্য পয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি সহ নৌযান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি, পদ্ম বিলের অম‚ল্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার ব্যবস্থা।
বাগেরহাট থেকে আগত পর্যটক হ্যাপি সাহা বলেন, অনেকের কাছে শুনেছি টুঙ্গিপাড়ার বাঘিয়ার কুল ও ডাকাতের ভিটা বিলে শাপলা ও পদ্মবিল রয়েছে। তাই ভোরে বাগেরহাট থেকে টুঙ্গিপাড়া এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। কারণ বিলে কোন পদ্মই দেখতে পেলাম না আর ঘোরার জন্য এখানে কোন নৌকার ব্যবস্থাও নেই।
বরিশালের বানারীপাড়া থেকে আগত আব্দুস সবুর বলেন, পরিবার নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। ডাকাতের ভিটা ও বাঘিয়ার কুল বিলে ঘুরতে এসে দেখি পদ্ম নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রæত স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
টুঙ্গিপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, বাঘিয়ার কুল ও ডাকাতের ভিটা বিলকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাহলে টুঙ্গিপাড়ায় আরও বেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে।
এবিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আল মামুন বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে এটা দুঃখজনক। তাই টুঙ্গিপাড়ার পদ্ম ও শাপলা বিল রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা