ছাত্রীর নানী মামলার বাদি হাসিনা বেগম জানান, তার মেয়ে-জামাই ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করায় তাদের মেয়ে নানীর বাড়িতে থেকে পড়া-লেখা করে। প্রতিদিনের ন্যায় সে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে সে মাদ্রাসায় যায়।
ঐ ছাত্রী অভিযোগ করে যে, ঘটনার দিন মাদরাসা ছুটির পর দুপুর ১২টার দিকে অপর এক ছাত্রীর মাধ্যমে হুজুর তাকে তার ব্যবহৃত থালা-বাসন পরিস্কারের কথা বলে মাদ্রাসায় তার থাকার কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা কথোপকথনের এক পর্যায়ে হুজুর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে পরনের কাপড় খুলে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার নানীকে খুলে বলে।
এ ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতার কথা জানিয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ছাত্রীর নানী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে মাদরাসা শিক্ষক রহমতুল্লাহ মোল্লার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০০ ৩) এর ১০ ধারায় একটি মামলা করেছেন।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মামলায় আসামী রহমতুল্লাহ মোল্লাকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।