রেড রোড কার্নিভ্যালঃ বাঙালি আর উৎসব – এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক

শম্পা দত্ত, কলকাতাঃ বাঙালি আর উৎসব – এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। এই দুটোকে আলাদা করা খুব কঠিন। আজ রেড রোদে তাই এই দুই এর মিলন দেখল বাঙালি। বাংলার সীমা ছাড়িয়ে পড়ন্ত বেলায় উৎসবের রেশ পৌছে গেল সাগরপারের প্রবাসী বাঙালিদের কাছেও। আর দুর্গাপুজো- সে শধু বাঙালির নয়, বাংলার নয়, প্রতিটি হিন্দুর। প্রতিটি উৎসবপ্রিয় মানুষের। 

আজ তাই রেড রোড জুড়ে সেই ভালোবাসার ছোঁয়া, উৎসবের ছোঁয়া। দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর কাছ থেকে হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এটাই কলকাতায় প্রথম কার্নিভ্যাল। তাই আজ ছিল উৎসবের অন্য এক মেজাজ। জানা গেছে, এবারে এই কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করেছে, কলকাতার ৯৫ টি পুজো। একটি বাদে বাকি প্রতিমাগুলির নিরঞ্জন হবে। একটিকে রেখে দেওয়া হবে। নাচে-গানে আজ রেড রোডে যেন চাঁদের হাট। এই চাঁদের হাট চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। 


এবার এই কার্নিভ্যালে এসেছেন বহু বিদেশী অতিথি। এমনিতেই প্রতিবছর লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্স ছাড়াও ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বহু বিদেশী এখানে আসেন, উৎসবের আমেজ ও মেজাজ সারা অঙ্গে মেখে নেওয়ার জন্য। তবে, এবারে সবকিছুই একটু অন্যরকম, কারোন দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক তকমা লাভ। নিঃসন্দেহে বিদেশীদের কাছেও এটা তাই একটু অন্যরকম। এদিন অনুষ্ঠান শুরুর অনেকটা আগেই এসে পোউছান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই রেড রোডে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা, শিল্পজগতের বহু তারকা, বুদ্ধিজীবী ও রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। 

সৌরভ-পত্নী তথা বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলীর নৃত্য প্রদর্শনের কথা থাকলেও, শারীরিক কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন নি, তাই এদিন এই অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে নৃত্য পরিবেশন করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল দীক্ষা মঞ্জরীর ছাত্র ছাত্রীরা। য়াজ এই কার্নিভালের নিজেদের পরিবেশনা তুলে ধরেন দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, বেহালা নতুন দল, বডিগার্ডস লাইন আবাসিক দুর্গাপুজো কমিটি, কলেজ স্কোয়ার সর্বজনীন পুজো ইত্যাদি। এদিনের অনুষ্ঠানে বেহালা নতুন দল পরিবেশিত আদিবাসী নৃত্যের সঙ্গীতে সুর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, কথাও স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। তিনি নিজেও এই নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেন।

অন্যদিকে, রেড রোডে পুজো কার্নিভাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "সরকারি টাকায় মোচ্ছব। মালবাজারের ঘটনার পর এই কার্নিভালের কী প্রয়োজন ছিল ? এই জন্যই উত্তরবঙ্গের মানুষ আলাদা রাজ্য চায়।"

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad